সমবায় সমিতির অর্থ হল সম্মিলিত প্রচেষ্টা। নিজেদের অর্থনৈতিক কল্যাণ অর্জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে সহজ অর্থে সমবায় বলে। প্রকৃত অর্থে একই শ্রেণির কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের আর্থিক কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় সংঘবদ্ধ হয়ে সম-অধিকারের ভিত্তিতে সমবায় আইনের আওতায় যে ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তোলে তাকে সমবায় সংগঠন বলা হয়ে থাকে। সকলের তরে সকলে আমরা, একতাই বল, স্বাবলম্বনই শ্রেষ্ঠ অবলম্বন ইত্যাদি হলো এর মূলমন্ত্র।
সাধারণ বা প্রাথমিক সমবায় সমিতি গঠনের জন্য সমপেশা বা সমমনা কিংবা একই এলাকার বসবাসকারী প্রাপ্তবয়স্ক কমপক্ষে ২০ জন ব্যক্তিকে একত্রিত হতে হয়। এদেরকে প্রবর্তক বা উদ্যোক্তা বলে। উদ্যোক্তাগণ শুরুতেই তাদের মধ্য হতে কমপক্ষে ৬ সদস্য নির্বাচন করে। যা নিম্নরূপ-
☞ চেয়ারম্যান - ১জন
☞ ভাইস চেয়ারম্যান - ১জন
☞ সেক্রেটারি - ১জন
☞ কোষাধ্যক্ষ - ১জন
☞ সাধারণ সদস্য - ২জন।
নিবন্ধনের জন্য আবেদন : এ পর্যায়ে সমিতির কর্তব্যরত ব্যক্তিগণ সংশ্লিষ্ট এলাকার সমবায় অফিস হতে প্রয়োজনীয় আবেদন পত্রের ফরম সংগ্রহ করে তা পূরণপূর্বক প্রয়োজনীয় দলিলাদি নিবন্ধকের নিকট জমা দেন। এক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সাথে নিম্নোক্ত দলিলাদি সংযুক্ত করতে হয়:
☞ প্রস্তাবিত সমিতির সদস্যদের নাম, ঠিকানা ও তারিখসহ স্বাক্ষর সম্বলিত কাগজ
☞ উদ্যোক্তাদের স্বাক্ষরসহ উপবিধি ৩ কপি
☞ সমবায় সমিতির সীলমোহরের নমুনা
☞ আবেদনপত্রটি আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে পূরণ করা হয়েছে এ মর্মে উদ্যোক্তাদের দেয়া ঘোষণাপত্র।
নিবন্ধনপত্র পাওয়ার সাথে সাথে সমবায় সমিতির আইনগত সত্ত্বা জন্ম লাভ করে। অতঃপর সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি ও উদ্যোক্তাগণ সমিতির নাম ও সীলমোহর ব্যবহার করে উপবিধি অনুযায়ী সমবায় সমিতির কার্যক্রম শুরু করতে পারে। আর এই সমবায় সমিতির কার্যক্রম সুষ্ঠ ও নির্ভুলভাবে পরিচালনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমরা নিয়ে এসেছি MicroFinance Management System BD - MFMSBD সফটওয়্যারটি। যা আপনার প্রতিষ্ঠানের সার্বিক হিসাব-নিকাশের সহায়ক হিসাবে কাজ করবে।